তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় হাজী আব্দুল্লাহ একাডেমীতে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যোগসাজসে তাদের আত্মীয়দের এবং বডি পরিবর্তন করে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়োগের বিরুদ্ধে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. বাবুল হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বোয়ালমারী
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গত ২৪.০৮.২০২২ ইং তারিখে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসাইন অভিযোগটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনকে তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি গত দেড় মাসেও অভিযোগ তদন্ত করেননি। এ ছাড়া ওই নিয়োগ কমিটির একজন সদস্য ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট ২২ তারিখে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে রাঙ্গামুলারকান্দি হাজী আব্দুল্লাহ একাডেমীতে তিনটি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়ের কক্ষে।
ওই নিয়োগে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির আপন ভাগ্নে মো. রুমানকে অফিস সহায়ক পদে, নিরাপত্তাকর্মী পদে প্রধান শিক্ষককের আপন ভায়রার ছেলে রিজাউলকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আয়া পদে মনিরা নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি আরো উল্লেখ করেন মনিরার পরিবর্তে আরেকজনকে দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে নিয়োগের জন্য কোন অনুমোদনের জন্য কোন নোটিশ প্রদান না করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে প্রতারনা করে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনটি নিয়োগে ২১ লক্ষ টাকা নিয়েছে সভাপতি প্রধান শিক্ষক।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. মিসকাত মোল্যা টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় যারা ভালো নাম্বর পেয়েছে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে সভাপতির ভাগ্নেকে নিয়োগের কথা স্বীকার করেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ডা. হাসমত আলী শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বলেন, নিয়োগ বর্ডের সকলেই প্রশ্ন দিয়েছিল। নিয়োগে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা ব্যক্তিগত জমি দিয়েছি। এ ছাড়া লক্ষ লক্ষ টাকা দিচ্ছি স্কুলে। নিয়োগ নিয়ে কেন অভিযোগ করলো তা আমার জানা নেই। পরীক্ষায় যারা ভালো করেছে তাদেরকেই নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, রাঙ্গামুলারকান্দি হাজী আব্দুল্লাহ একাডেমীর নিয়োগ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগের তদন্ত করার জন্য ইউএন আমাকে দিয়েছেন। সময় পায়নি তদন্ত করার। এই মাসের ১০ তারিখের পর তদন্ত করবো। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসাইন বলেন, নিয়োগের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পড়েছে তা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে। যে নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ পড়েছে ওই নিয়োগ কমিটিতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন সে কি তদন্ত করবেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তা হলে তাকে পরিবর্তন করে আরেক জনকে দেওয়া হবে।